Skip to main content

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Q1. নতুন সামাজিক ইতিহাস বলতে কী বোঝো? 
Ans: 1960 ও 1970- এর দশকে নাগরিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক আন্দোলনের কারণে অতীতের ঘটনাবলীর নতুন ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ এর সূচনা হয়। একসময় ইতিহাস বলতে রাজা মহারাজাদের যুদ্ধ-বিগ্রহ ও তাদের কাজ কর্ম ছিল। কিন্তু বর্তমানে ইতিহাস হল একটা দেশ বা জাতির সামগ্রিক জীবনযাত্রা।
                                 পাশ্চাত্য দেশের সমাজের অবহেলিত দেশ গুলির উপর জোর দিয়ে ইতিহাস রচনা করা হতো। এইভাবে গড়ে উঠলো নতুন সামাজিক ইতিহাস সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও তাদের জীবনযাপন,জাতি,বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ হিংসা ও সম্প্রীতি হয়ে উঠল নতুন সামাজিক ইতিহাস এর আলোচ্য বিষয়বস্তু।


Q2. উনিশ শতকে নারী মুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার অবদান আলোচনা কর?
Ans: উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের সমাজ জীবনে শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে স্থবিরতা ছিল। যদি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশীরা কয়েকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল কিন্তু তা ছিল বালকদের জন্য। সামাজিক ও পারিবারিক কারণে বাংলাদেশে নারীদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। এই দুরবস্থা থেকে নারীদের উদ্ধারের জন্য যে সমস্ত সমসাময়িক পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উমেশচন্দ্র দত্ত সম্পাদিত বামাবোধিনী পত্রিকা।
প্রকাশক ও প্রকাশকালঃ  ১৮৬৩ সালের  আগস্ট মাসে উমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় প্রথম বামাবোধিনী পত্রিকা প্রকাশ করেন।এটি ছিল একটি মাসিক বাংলা পত্রিকা।
শিক্ষাঃ এই পত্রিকার পরিচালকমন্ডলী মনে করতেন নারী জাতিকে শিক্ষার আলোকে উদ্ভাসিত করতে না পারলে সমাজের উন্নতি ঘটতে পারে না, এই জন্য পত্রিকাটি নারী শিক্ষা প্রসারের উপর বিশেষ জোর দেয়, নারী শিক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠক্রমের প্রস্তাব করে, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাড়ির পুরুষদের দায়িত্ব গ্রহণেরও প্রস্তাব দেয়।
আদর্শ অনুসরণঃ এই পত্রিকা নারীদের উৎসাহিত করার জন্য ভারতের খ্যাতনামা প্রাচীন বিদূষী মহিলা যেমন গার্গী মৈত্রেয়ীর মত বিদুষী নারীদের আদর্শ তুলে ধরতেন এবং বলতেন যে, তারা যেমন নিজ নিজ চেষ্টায় জ্ঞানার্জনে ব্রতী ছিলেন, জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তারা যেভাবে পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছিলেন সেইভাবেই বাঙালি নারীদের শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে আসা দরকার।
আচার-অনুষ্ঠানঃ বাংলাদেশের হিন্দু সমাজে যেসব মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল সেগুলি পালনের কথা পত্রিকায় লেখা হতো যেমন-ভাইফোঁটা রাখি বন্ধন বিভিন্ন ব্রত প্রভুতি।এছাড়াও এ পত্রিকাতে মেয়েদের লেখা গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হত। মেয়েদের কৃতিত্ব সাফল্য এমনকি বাংলা রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হলে তাতে মেয়েদের অংশগ্রহণের খবর,ঠাকুর বাড়ির মেয়েদের কার্যকলাপ প্রভূতি নিয়মিত প্রকাশিত হতো।
সীমাবদ্ধতাঃ যাইহোক নারী মুক্তি আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা সমালোচনার উর্ধে যেতে পারেনি। কারণ এই পত্রিকা কেবল হিন্দু নারীদের জন্য সবর হয়েছিল; মুসলমান এবং গ্রাম কেন্দ্রিক সমাজে নারীদের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা ছিল মৌন। তা সত্বেও বলা যায় নারী বামাবোধিনী পত্রিকা যে উদ্যোগ নিয়েছিল সমকালে আর কোন পত্রিকা অনুরূপ উদ্যোগ নেয়নি।শিক্ষা প্রসারে নারী সমাজকে সচেতন করার ক্ষেত্রে এ পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য।

Q3. স্থানীয় ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans: স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জায়গার লোকপরম্পরা, শিল্প -স্থাপত্যের বিকাশ, আর্থসামাজিক বিবর্তন সম্পর্কে জানা যায় |জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে স্থানীয় ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ |

Q4. বঙ্গদর্শন পত্রিকার আলোচ্য বিষয় কি ছিল ?
Ans: নিজে করো ।

Q5. পাশ্চাত্য বাদী কাদের বলা হয় ?
Ans: যারা পাশ্চাত্য বা ইউরোপীয় ও ইংরেজি শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন তাঁদের পাশ্চাত্যবাদী বলা হয়। পাশ্চাত্যবাদীরা হলেন— আলেজজান্ডার ডাফ, সান্ডর্স,কলভিন প্রমুখ।

Q6. নারী ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans: নারী ইতিহাস বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—
I.   এ যে বিষয়গুলি উপেক্ষিত ছিল এখন তা গুরুত্ব সহকারে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। পারিবারিক ক্ষেত্রে হিংসাত্মক কার্যকলাপ, শিশুর উপর নিপীড়ন, বধূহত্যা, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য অত্যাচার প্রভৃতির কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।
II.   .লিঙ্গবৈষম্য, পারিবারিক সম্পর্ক ও সামাজিক ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে নারী ইতিহাস।
III.   নারীর ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার উপর আলোকপাত করে এবং
IV.   বিভিন্ন যুগে নারীর মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে।
এই ভাবেই নারীদের ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার পরিচয় নারী ইতিহাস চর্চায় স্থান লাভ করেছে।

Q7. দলিত' কাদের বলা হয়?
Ans: খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে আসে। এই সময় আর্যরা ভারতীয় জনসমাজকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র -- এই চারটি বর্ণে ভাগ করেন। প্ৰথম তিন বর্ণের মানুষকে সেবা করতে বাধ্য করত শূদ্রদের। উচ্চবর্ণের মানুষের কাছে এরা ছিল অস্পৃশ্য। পরবর্তীকালে (বৃটিশ শাসনকালে) এরাই 'দলিত' নামে পরিচিত হয়।
উল্লেখ্য, দলিতরা নানা দিক থেকেই উচ্চবর্ণের শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। 

Q8. নব্য বঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হত ?
Ans: উনিশ শতকের প্রথম ভাগে হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও পরিচালিত নব্যবঙ্গ আন্দোলনের অনুগামীদের নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল বলা হয় ।

Q9. বালাকোটের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?
উঃ- বালাকোটের যুদ্ধ শেরসিং-এর শিখ বাহিনী ও সৈয়দ আহমেদের ওয়াহাবি বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল । 

Q10. মুন্ডা বিদ্রহের দুটি কারন লেখ ?
Ans: ধর্মান্তরিতকরণ :
লুথারান ও অ্যাঙ্গলিকান মিশনারিরা মুন্ডারি ধর্ম ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাতে থাকে । খ্রিস্টান মিশনারিরা নানা প্রলােভন ও ভয় দেখিয়ে মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করছিল । এতে ধর্মভীরু মুন্ডাসমাজ বিদেশিদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় ।

চা ব্যবসায়ীদের শোষণ :
চা-বাগিচার সাহেব মালিকরা মিথ্যা প্রলােভন দেখিয়ে মুন্ডাদের শ্রমিকের কাজে নিয়ােগ করত । শােষণ করাই হল সাহেবদের একমাত্র উদ্দেশ্য ক্রমে তা বুঝতে পেরে তারা ক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ।

Q11. মেকলে মিনিট কি ?
Ans: ব্যাবিংটন মেকলে ছিলেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের শিক্ষাসচিব। কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশনের সভাপতি।
এই কমিটির কাজ ছিল ভারতে প্রাচ্য না পাশ্চাত্য -- কোন রীতিতে শিক্ষা দেওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে মতামত জানানো।এই বিষয়ে ১৮৩৫ সালে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষার উৎকর্ষতার পক্ষে যে প্রস্তাব দেন তা মেকলে মিনিট নামে পরিচিত।

Q12.  উডের ডেসপ্যাচ কি
Ans: স্যার চার্লস উড ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি। তিনি ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দেশনামা পেশ করেন, যা উডের প্রতিবেদন’ বা ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত। তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন যে,
১) কলকাতা,বোম্বাই ও  মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
২) শিক্ষা প্রসারের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষা বিভাগ গঠন করা ।
৩) সরকারি মডেল স্কুল গুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

Q13. শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে কারা পরিচিত ? 
Ans: খ্রিষ্টান মিশনারি উইলিয়াম কেরি, জশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড - এই তিনজনকে একত্রে 'শ্রীরামপুর ত্রয়ী' বলা হয় এরা তিনজন মিলে ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্ৰতিষ্ঠা করেন। এদের এই মিশন পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

Q14. ‘অরণ্য আইন’  বলতে কী বোঝ?
উঃ- ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সরকার ভারতের অরণ্য সম্পদের ওপর নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কতগুলি আইন প্রণয়ন করেন। এগুলি ‘অরণ্য আইন’ নামে পরিচিত। এগুলির মধ্যে ১৮৫৬, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের আইন উল্লেখযোগ্য। এতে একদিকে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, অন্যদিকে আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের অধিকার হারায়।

Q15. আত্মজীবনী কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে ?
Ans: আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা গুরুত্বঃ-
     1.  সাধারণ মানুষের কথা, লেখক এর পারিপার্শিক পরিবেশ, কোন কোন ঘটনার বিবরণী প্রভুতি ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তথ্যের জোগান দেয়।
     2.  রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন ধর্মী ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
     3.  স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
     4.   বৃহত্তম বা জাতীয় ইতিহাসের বহু উপেক্ষিত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে।

Q16. "পঞ্চম আইন কি ?
Ans: নিজে করো 

Q17. ভিল বিদ্রোহের কয়েকজন নেতার নাম লেখ।
Ans: চিল নায়েক, তাঁতিয়া ভিল, হিরীয়া, শিউরাম প্রমুখ।

Q18. জাতিয় শিক্ষা পরিষদের গুরুত্ব কি ছিল  ?
Ans: বাংলা ও বাংলার বাইরে জাতীয়  শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছিল। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলায় ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩০০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। বাংলার বাইরে বোম্বাই, মাদ্রাজ, যুক্তপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বেরার, মসুলিপত্তম, অন্ত্র প্রভৃতি জায়গায় জাতীয় শিক্ষার প্রসার ঘটে। জাতীয় শিক্ষার জনপ্রিয়তা বজায় থাকে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

Q19. সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি কি ? 
Ans: ১৯৩২ সালে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাগডোনাল্ডের পরামর্শে ভারতের ব্রিটিশ সরকার যে 'বিভাজন ও শাসন' নীতি গ্রহণ করে তা 'সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা' নামে পরিচিত।
এই নীতির মাধ্যমে ভারতীয়দের সংখ্যালঘু, বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত হিন্দু - তিনটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত করে আইন সভায় পৃথক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

Q20. ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কি ?
Ans: আধুনিক ইতিহাস রচনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ, সম্পাদকীয়, চিঠিপত্র, নানাবিষয়ের ওপর প্রকাশিত
লেখাগুলাে ইতিহাস রচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য উপাদানের সাথে তুলনা করে সংবাদপত্রে প্রাপ্ত তথ্যাদি প্রাথমিক
উপাদানরূপে বিবেচিত হয়। সমকালীন সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির বার্তাবহ সংবাদপত্র ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও
আধুনিক ভারতের গঠনের ইতিহাস রচনায় বিশেষ সহায়ক।



Q21. ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ?
Ans: ইসলামের সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের আদর্শ নিয়ে ফরাজি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ফরাজি’ শব্দের অর্থ ইসলামের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ইসলাম শাস্ত্রে সুপণ্ডিত হাজি শরিয়ত-উল্লাহ ১৮২০ খ্রিঃ কোরান নির্দেশিত পথে ধর্মসংস্কারের
জন্য এই আন্দোলনের সূচনা করেন। আন্দোলনের প্রত্যক্ষ কারন হিন্দু জমিদার কর্তৃক ধর্মীয় কারনে ফরাজিদের উপর অতিরিক্ত ধর্মীয় ‘কর’ বা ‘আবওয়াব’ আদায়। তবে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব, সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী এবং দমননীতির কারনে আন্দোলন ব্যর্থ হয়। ফরাজিদের শক্তির উৎস ছিল ধর্মীয় ঐক্য কিন্তু অবধারিতভাবে এটি একটি কৃষক অভ্যুত্থান।

Q22. কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা কি ?
Ans: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ভগৎ সিং  'নওজওয়ান ভারত সভা' নামে একটি  যুবসংগঠন গড়ে তুলেছিলেন । এই সংস্থার অন্যতম সদস্য রামপ্রসাদ বিসমিলের নেতৃত্বে বিপ্লবী দল কাকোরির কাছে ট্রেনে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ আগস্ট রেল ডাকাতিকে কেন্দ্র করে 'কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা' শুরু হয় । অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান ছিলেন রামপ্রসাদ বিসমিল, রোশন সিং, রাজেন লাহিড়ি, শচীন সান্যাল, মন্মথ গুপ্ত, প্রণবেশ ভট্টাচার্য, আসফাকউল্লা প্রমুখ । বিচারে এঁদের অধিকাংশের যাবজ্জীবন, দ্বীপান্তর অথবা সশ্রম কারাদন্ড হয় । রামপ্রসাদ বিসমিল ও অপর তিন সহযোগীর ফাঁসি হয় । এই মামলায় ভগৎ সিং অভিযুক্ত হন নি, যদিও তিনি ছিলেন অন্যতম পরামর্শদাতা ।

Q23. শ্রীনিকেতন কি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ?
Ans: নিজে করো 

Q24. ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হয় কেন ?
Ans: রাজা রামমোহন রায় হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজসংস্কারের জন্য ব্রাহ্রসমাজ গঠন করেন ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। পরে বিভিন্ন কারণে ব্রাহ্রসমাজ ও ব্রাত্ম আন্দোলনে বিভাজন ঘটে।
বিভাজনের কারণ :  উপবীতধারণ, জাতিভেদ প্রথার প্রশ্নে ব্রাহ্বসমাজে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেনের মধ্যে মতভেদ ও বিভাজন ঘটে (১৮৬৬ খ্রি.)। 2। এরপর অসবর্ণ বিবাহ, বিবাহের ন্যূনতম বয়স (নারীর) নির্ধারণ,কীর্তনরীতি, খ্রিস্টপ্রীতির প্রশ্নে কেশবচন্দ্র সেন ও শিবনাথ শাস্ত্রীর মধ্যে মতভেদ ও বিভাজন ঘটে (১৮৭৮ খ্রি.)।

Q25. চুইয়ে পড়া নীতি’ বা ‘Filtration Theory' বলতে কী বোঝায়?
উঃ- চুইয়ে পড়া নীতিঃ- পাশ্চাত্য শিল্পবিস্তারের সূচনায় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটানো হলে ওই উচ্চশিক্ষিত লোকেরা সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার বিস্তার ঘটাবে। ফিলটারের জল যেমন উপর থেকে পরিশুত হয়ে চুইয়ে নীচে নামে, তেমনই সমাজের উচ্চস্তর | থেকে নিম্নস্তরে শিক্ষাবিস্তারের এই নীতিকেই চুইয়ে পড়া নীতি’ বা ‘Filtration Theory’ বলা হয়ে থাকে।

আপাতত ২৫টি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হল সময়ের সাথে আরও নতুন প্রশ্ন উত্তর যোগ করা হবে ।