Skip to main content

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ:বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ



**অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন**

1.কত খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বনবিভাগ স্থাপিত হয়? 

Ans: ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে

2.বাংলায় সংঘটিত প্রথম আদিবাসী কৃষক বিদ্রোহ কোনটি? 

Ans: চুয়াড়

3.জগন্নাথ ধল(সিংহ)কে ছিলেন? 

Ans: ঘাটশিলায় ধলভূমের রাজা

4.

প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ কবে হয়? 

Ans: ১৭৬৮ – ৬৯ খ্রি:

5.প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দেন? 

Ans: ঘাটশিলার জমিদার বা ধলভূমের রাজা জগন্নাথ ধল বা সিংহ

6.গোবর্ধন দিকপতি ও লাল সিং কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন? 

Ans: চুয়াড়

7.দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ কবে অনুষ্ঠিত হয়? 

Ans: ১৭৯৮ – ৯৯ খ্রি:

8.দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন? 

Ans: দুর্জন সিং (বাঁকুড়ার রায়পুরের জমিদার)

9.কবে রংপুরের কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল? 

Ans: ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে

10.দেবী সিংহের নাম কোন বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত?

Ans: রংপুর কৃষক বিদ্রোহ

11.ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে প্রথম কবে অরণ্য আইন পাস হয়েছিল? 

Ans: ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে

12.ডেইট্রিক ব্রান্ডিস কে ছিলেন? 

Ans: ডেইট্রিক ব্রান্ডিস ছিলেন জার্মানির বনাঞ্চল বিশারদ,যিনি এ দেশে প্রথম ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।

13.কার প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস চালু হয়? 

Ans: ডেইট্রিক ব্রান্ডিসের প্রচেষ্টায়

14.ভয়েলকার কে ছিলেন? 

Ans: ভয়েলকার ছিলেন একজন জার্মান কৃষিবিদ, যিনি ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতে এসেছিলেন।

15.সংরক্ষিত অরণ্য কোন আইনে তৈরি হয়েছিল? 

Ans: ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের অরণ্য আইনে

16.রংপুর কৃষক বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন? 

Ans: নুরুলউদ্দিন

17.রংপুরের স্থানীয় স্বাধীন সরকারের নবাব নুরুলউদ্দিনের সহকারী কে ছিলেন? 

Ans: দয়ারাম শীল

18.রংপুর বিদ্রোহের সময় রংপুরের কালেকটর কে ছিলেন?

Ans: গুডউইন

19.রংপুর বিদ্রোহ দমনে কে ব্রিটিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেন? 

Ans: ম্যাকডোনাল্ড

20.দেবী সিংহ কে ছিলেন? 

Ans: রংপুরের অত্যাচারী ইজারাদার

21.কার বিরুদ্ধে রংপুর বিদ্রোহ শুরু হয়? 

Ans: রংপুরের অত্যাচারী ইজারাদার দেবী সিংহের বিরুদ্ধে

22.ডিং খরচা কী? 

Ans: রংপুর কৃষক বিদ্রোহের ব্যয় নির্বাহের জন্য বিদ্রোহীরা কৃষকদের ওপর যে চাঁদা ধার্য করে তা ডিং খরচা নামে পরিচিত।

23.রেজা খাঁ কে ছিলেন? 

Ans: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নায়েব দেওয়ান

24.”চুয়াড়” শব্দের অর্থ কী? 

Ans: দুর্বৃত্ত ও নীচ জাতি।অসভ্য, বর্বর, বন্য

25. ” মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাই ” নামে কে পরিচিত ছিলেন? 

Ans: রানি শিরোমণি

26.রাম্পা বিদ্রোহ কবে হয়েছিল? 

Ans: ১৭৮৯ সালে

27.কোন শব্দ থেকে চুয়াড় শব্দটির উৎপত্তি? 

Ans: ইংরেজি ‘চার’ শব্দ থেকে

28.পাইক কাদের বলে? 

Ans: জমিদারের লেঠেল বাহিনীকে বলা হত পাইক।চুয়াড়রা মেদিনীপুর,বাঁকুড়া, ধলভূমের স্থানীয় জমিদারের অধীনে রক্ষী বাহিনীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত।এজন্য তাদের পাইক বলা হত।

29.পাইকান কী? 

Ans: পাইকদের ভোগ করা নিষ্কর জমিকে বলা হত পাইকান।

30.চুয়াড় বিদ্রোহের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

Ans: চুয়াড় বিদ্রোহে স্থানীয় জমিদারেরা নেতৃত্ব ও সহযোগিতা দান করেছিল।

31.বিহারের ছোটোনাগপুরের অধিবাসী কোলরা কোন কোন সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল?

Ans: বিহারের ছোটনাগপুর অঞ্চলের অধিবাসী কোলরা মুণ্ডা, হো, ওরাঁও প্রভৃতি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল।

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নঃ প্রশ্নমান- ২

১. মুণ্ডা বিদ্রহের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল ?
২. দেবি সিং কে ছিলেন ?
৩. সন্যাসি বিদ্রহ কোন পরিস্থিতে শুরু হয় ?
৪. তিতুমিরের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপতির নাম কি ছিল ?
৫. সরিয়াত উল্লাহ কেন ফরাজি আন্দোলন শুরু করেন ?
৬. পাবনা বিদ্রোহ কেন হয়েছিল ?

রচনাধর্মী প্রশ্নঃ প্রশ্নমান – ৪

1.নারীশিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো। 

Ans: ভূমিকা :

ঊনিশ শতকে বাংলার নারীশিক্ষার প্রসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।তিনি ছিলেন নারীশিক্ষা বিস্তারের পথিকৃৎ।

••নারীশিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান :

1.উপলব্ধি :

বিদ্যাসাগর উপলব্ধি করেন যে, নারীজাতির উন্নতি না ঘটলে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়।

2.হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা :

ব্রিটিশ সরকারের আইন সচিব জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন ও বিদ্যাসাগর ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়,যার বর্তমান নাম বেথুন স্কুল।

3.মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন স্থাপন :

বিদ্যাসাগর নিজ উদ্যোগে ও খরচে ১৮৭২ সালে কলকাতায় মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন স্থাপন করেন, যার বর্তমান নাম বিদ্যাসাগর কলেজ।

4.ছাত্রী সংগ্রহ :

বিদ্যাসাগর গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিভাবকদের বুঝিয়ে ছাত্রী সংগ্রহের কাজও করেছিলেন।একটি সমীক্ষায় জানা যায়, ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয়ে ১৩০০ ছাত্রী পড়াশোনা করতো।

5.সচেতনতা বৃদ্ধি :

নারীশিক্ষা বিষয়ে সচেতনতার জন্য তিনি জেলায় জেলায় “স্ত্রীশিক্ষা সম্মিলনী” গড়ে তোলেন।

6.অর্থানুকূল্য :

তিনি ব্যক্তিগত অর্থানুকূল্যে যেমন বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন তেমনি ওই সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে যাতে সরকার অর্থ সাহায্য করে তার চেষ্টাও  করেছিলেন।

মূল্যায়ন :

নারীশিক্ষায় বিদ্যাসাগরের অবদান ছিল অসামান্য। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “বিধাতা বিদ্যাসাগরের প্রতি বঙ্গভূমিকে মানুষ করিবার ভার দিয়াছিলেন”।বিবেকানন্দের কথায়, “After Ramkrishna,I follow Vidyasagar.”

2.নারী সমাজের কল্যাণে বামাবোধিনী পত্রিকার অবদান আলোচনা করো।

অথবা

টীকা লেখো : বামাবোধিনী পত্রিকা।

Ans: ভূমিকা :

ঊনিশ শতকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত যেসব সাময়িকপত্রে তৎকালীন সমাজের প্রতিফলন ঘটেছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল “বামাবোধিনী পত্রিকা” নামে মাসিক পত্রিকাটি।

••প্রকাশক ও প্রকাশকাল :

উমেশচন্দ্র দত্তের সম্পাদনায় ১৮৬৩ খ্রি: আগস্টে বাহির সিমলার ১৬ রঘুনাথ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে অবস্থিত বামাবোধিনী সভার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত হয় বামাবোধিনী সাময়িক পত্রিকা।সূচনালগ্ন থেকে ১৯২২ খ্রি: পর্যন্ত প্রায় ষাট বছর ধরে এই পত্রিকা সমকালীন বাংলার বামা অর্থাৎ নারীদের অবস্থা সম্পর্কে জানবার এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

••অবদান :

1.নারীপ্রগতি :

পত্রিকাটির নাম থেকে বোঝা যায়, ‘বামা’ অর্থাৎ নারী প্রগতির জন্য পত্রিকাটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল।নারীদের গৌরবজনক বিভিন্ন কাজের খবর, স্ত্রীশিক্ষা এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শসহ নারীদের বিভিন্ন বিষয় এই পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হত।

2.সমস্যা সমাধান :

নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও পত্রিকাটি আগ্রহ দেখিয়েছিল।মহিলাদের সুগৃহিনী,আদর্শ মা হিসেবে গড়ে তোলা,নারীজাতিকে কী ধরনের আচরণ করতে হবে তার জন্য ‘পতিসেবা’, ‘আদর্শ সতী স্ত্রী’ এই জাতীয় রচনা পরিবেশিত হয়।

3.অন্যান্য ক্ষেত্র :

বামাবোধিনী পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় লেখা ছিল — ” বামাবোধিনীতে ভাষাজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস, জীবনচরিত, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যরক্ষা, নীতি ও ধর্ম, দেশাচার, পদ্য, গৃহচিকিৎসা, শিশুপালন, শিল্পকর্ম, গৃহকার্য ও অদ্ভুত বিবরণ প্রকাশিত হইবে। “

মূল্যায়ন :

এই পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠি ও মতামত থেকে তৎকালীন সমাজে মেয়েদের প্রতি অধিকাংশ মানুষের ধারণা কেমন তা জানা যেত। কুসংস্কার ও সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সরব হয় এই পত্রিকা।

রচনাধর্মী প্রশ্নঃ প্রশ্নমান – ৪

১. কোল বিদ্রোহ কেন হয়েছিল ?
২. সাঁওতাল বিদ্রহের পটভূমি কি ছিল ?
৩. ফরাজি আন্দোলন প্রসারে দুদু মিয়ার ভুমিকা উল্লেখ করো ?
৪. বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলন প্রসারে তিতুমিরের ভুমিকা ব্যাখ্যা করো ?
৫. নিল বিদ্রোহ কিভাবে নিলকরদের বিরুধ্যে আঘাত হেনেছিল ? 


ব্যাখ্যামুলক প্রশ্নঃ প্রশ্নমান- ৮


১. প্রাক ১৮৫৭ পর্বে উপজাতি আন্দলনে কোল ও সাঁওতাল বিদ্রহের গুরুত্ব আলোচনা করো ?