Skip to main content

সংস্কার:বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

*মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়:**

1.ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসকের নাম কী?

Ans: কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

2.” শব্দকল্পদ্রুম ” নামক সংস্কৃত অভিধানের রচয়িতা কে?

Ans: রাধাকান্ত দেব

3.রামমোহন কবে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: 1825 খ্রিস্টাব্দে

4.বাংলার কোণ শতককে ” নবজাগরণের শতক ” বলা হয়?

Ans: ঊনবিংশ শতককে

5.শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে করা পরিচিত ছিলেন?

Ans: উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ডকে

6. “গ্রামবাবার্ত্তাপ্রকাশিকা ” পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: হরিনাথ মজুমদার

7.কোন বড়লাটের আমলে বিধবাবিবাহ আইন পাস হয়?

Ans: লর্ড ক্যানিং

8.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য বা ভাইস চ্যান্সেলর কে ছিলেন?

Ans: স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিন

9.ব্রাহ্মসমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

10.কে কত খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: স্যার উইলিয়াম জোন্স 1784 খ্রিস্টাব্দে

11.” মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন ” এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

Ans: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

12.মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন – এর বর্তমান নাম কী?

Ans: বিদ্যাসাগর কলেজ

13.বাংলার প্রথম ” বিধবা পাত্রী ” কে ছিলেন?

Ans: কালীমতি দেবী

14.” প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ” কাকে বলা হত?

Ans: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে

” ফকির অব জাংঘিরা ” কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?

Ans: ডিরোজিও

15.কাকে ” ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গুরু ” বলা হয়?

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

16.হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী?

Ans: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

17.ভারতের ইরাসমাস কাকে বলা হয়?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

18.হান্টার কমিশন কবে ঘোষিত হয়?

Ans: 1882 সালে

19.বাংলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ” গোলদিঘির গোলামখানা ” বলা হত?

Ans: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে

20.হিন্দুমেলার পূর্বনাম কী ছিল?

Ans: চৈত্রমেলা

21.কোন আইন দ্বারা বিধবাবিবাহ চালু হয়?

Ans: পঞ্চদশ রেগুলেশন ( 15 নং ) আইন দ্বারা

22.” আলালের ঘরের দুলাল ” কার লেখা?

Ans: প্যারিচাঁদ মিত্র ( ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর )

23.তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: অক্ষয়কুমার দত্ত

24.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন?

Ans: স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

25.সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি কবে গঠিত হয়?

Ans: 1823 সালে

26. “ব্রহ্মানন্দ” নামে কে পরিচিত ছিলেন?

Ans: কেশবচন্দ্র সেন

27.প্রথম বাঙালি সংবাদপত্র প্রকাশক কে ছিলেন?

Ans: গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

28.পটলডাঙা অ্যাকাডেমির বর্তমান নাম কী?

Ans: হেয়ার স্কুল

29.ঊনবিংশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ” এলিটিস্ট আন্দোলন ” বলে কে অভিহিত করেছেন?

Ans: অনিল শীল

30.গৌরমোহন আঢ্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নাম কী?

Ans: ওরিয়েন্টাল সেমিনারি

31.লালনের জীবনী কে প্রথম রচনা করেন?

Ans: বসন্ত কুমার পাল

32.কেশবচন্দ্র সেনকে ” ব্রহ্মানন্দ ” উপাধি কে দেন?

Ans: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

33.” হিন্দু প্যাট্রিয়ট ” পত্রিকাটি প্রকাশকালে কোন ধরনের পত্রিকা ছিল?

Ans: সাপ্তাহিক পত্রিকা

34.” সম্বাদ কৌমুদী ” – এর সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

35.বিশপ কলেজ কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: শিবপুরে

36.প্রথম দৈনিক বাংলা সংবাদপত্র কোনটি?

Ans: সম্বাদ বা সংবাদ প্রভাকর

37.বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক কারা?

Ans: চন্দ্রমুখী বসু এবং কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

38.” এনকোয়েরার ” নামক পত্রিকা কে প্রকাশ করেন?

Ans: কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জী

39.” নববিধান ” কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: কেশবচন্দ্র সেন

40.তিন আইন কবে পাস হয়?

Ans: 1872 সালে

41.হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় বর্তমানে কী নামে পরিচিত?

Ans: বেথুন স্কুল

42.আদি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে?

Ans: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

43.সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ কারা গড়ে তোলেন?

Ans: শিবনাথ শাস্ত্রী ও আনন্দমোহন বসু

44.কোন আইন দ্বারা সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটানো হয়?

Ans: সপ্তদশ রেগুলেশন ( 17 নং ) দ্বারা

45.স্কটিশচার্চ কলেজের পূর্বনাম কী ছিল?

Ans: জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইন্সটিটিউশন

46.নব্য বেদান্তের স্রষ্টা কে ছিলেন?

Ans: স্বামী বিবেকানন্দ

47.ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: কেশবচন্দ্র সেন

48.কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রেসিডেন্সি কলেজে উন্নীত হয়?

Ans: 1855 সালে

49.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য বা চ্যান্সেলর কে ছিলেন?

Ans: লর্ড ক্যানিং

50.ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ছাত্রসংঘঠন কোনটি?

Ans: অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন (1827 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় )

51. ” স্ত্রীশিক্ষা না হলে আমাদের পশুজন্ম ঘুচবে না ” – এই উক্তিটি কার?

Ans: স্বামী বিবেকানন্দ

52.” বিদ্যোৎসাহিনী সভা ” কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: কালীপ্রসন্ন সিংহ

53.কে কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস 1781 খ্রিস্টাব্দে

54.” গোঁসাইজি ” নামে কে পরিচিত ছিলেন?

Ans: বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

55.” ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমির পূর্বনাম কী ছিল?

Ans: অ্যাংলো – হিন্দু স্কুল

56.ব্রাহ্মসমাজের মুখপাত্র ছিল কোন পত্রিকা?

Ans: তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

57.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম কোন মুসলিম ছাত্র ডাক্তারি পাস করেন?

Ans: রহিম খান

58.শ্রীরামপুর কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: 1818 সালে

59.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম মালিক বা স্বত্বাধিকারী কে ছিলেন?

Ans: মধুসূদন রায়

60.ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কলেজের নাম কী?

Ans: বেথুন কলেজ

61.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক কারা?

Ans: যদুনাথ বোস ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

62.” ইন্ডিয়ান মিরর ” পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: কেশবচন্দ্র সেন

63.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি প্রথমে কোন ভাষায় প্রকাশিত হয়?

Ans: ইংরেজি

64.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি কবে থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয়?

Ans: 1856 সাল থেকে

65.কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়?

Ans: 1892 সালে

66.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কবে প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করা হয়?

Ans: 1836 খ্রিস্টাব্দে

67.ব্রাহ্মসমাজ কবে দ্বিধাবিভক্ত হয়?

Ans: 1866 খ্রিস্টাব্দে ( আদি ও ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে )

68.কলকাতা সংস্কৃত কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: 1824 সালে

69.” নব্যবঙ্গ ” কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?

Ans: ঈশ্বর গুপ্ত

70.বাংলায় কবে প্রথম বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়?

Ans: 1856 সালের 7 ডিসেম্বর

71.ভারতে প্রকাশিত প্রথম জাতীয় পত্রিকা কোনটি?

Ans: হিন্দু প্যাট্রিয়ট

72.সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: ঈশ্বর গুপ্ত

73.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ছাত্রী কে?

Ans: কাদম্বিনী বসু (গাঙ্গুলি )

74.কার নামে আর জি কর হাসপাতালটির নামকরণ হয়েছে?

Ans: রাধাগোবিন্দ কর

75.এলবার্ট হলের বর্তমান নাম কী?

Ans: কফি হাউস

76.জাতীয় মেলা কবে স্থাপিত হয়?

Ans: 1867 খ্রিস্টাব্দে

77.বারাণসী সংস্কৃত কলেজ কে কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: জোনাথন ডানকান 1791 সালে

78.” বামাবোধিনী ” পত্রিকার প্রচার কবে বন্ধ হয়?

Ans: 1923 খ্রিস্টাব্দে

79.” বামাবোধিনী ” কোন ধরনের পত্রিকা ছিল?

Ans: মাসিক

80.সংগত সভা (1860খ্রি:) কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: কেশবচন্দ্র সেন

81.” প্রাচ্যের সভ্যতা দুর্নীতিপূর্ণ ও অপবিত্র ” – উক্তিটি কার?

Ans: টমাস ব্যাবিংটন মেকলে

82.” স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক ” গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

Ans: গৌরমোহন আঢ্য

83.” স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক ” গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

Ans: রাধাকান্ত দেব

84.অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন এর মুখপত্র ছিল কোন পত্রিকা?

Ans: এথেনিয়াম

85.” উচ্ছৃঙ্খল” বা ” কালাপাহাড় ” বলে কাদের অভিহিত করা হত?

Ans: নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীদের

86.এশিয়ার প্রথম ডি. লিট কে পান?

Ans: বেণীমাধব বড়ুয়া

87.” ভারতের প্রমিথিউস ” কে?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

88.” ইন্ডিয়া টুডে ” কার লেখা?

Ans: ড. রজনীপাম দত্ত

89.” দ্য রেনেসাঁস ইন ইন্ডিয়া ” কার লেখা?

Ans: সি. এফ. অ্যান্ড্রুজ

90.” গ্রামীণ সাংবাদিকতার জনক ” কাকে বলা হয়?

Ans: হরিনাথ মজুমদারকে

91.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিল্ডিং তৈরির জন্য কে জমি দান করেন?

Ans: মতিলাল শীল

92.ডেভিড হেয়ার কোথাকার লোক ছিলেন?

Ans: স্কটল্যান্ডের লোক ছিলেন

93.বাংলায় কে, কবে প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করেন?

Ans: মধুসূদন গুপ্ত 1836 সালে

94.প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদীদের দ্বন্দ্বের অপর নাম কী?

Ans: ইভানজেলিক্যাল আন্দোলন

95.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?

Ans: মন্টফোর্ড ব্রামলি

96.কীসের দ্বারা প্রাচ্য – পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে?

Ans: 1839 সালে অকল্যান্ড মিনিটের দ্বারা

97.” নিউ হুগলি কলেজ ” এর বর্তমান নাম কী?

Ans: হুগলি মহসীন কলেজ

98.” অবজারভেশন ” কার লেখা?

Ans: চার্লস গ্রান্ট

99.কোন সময়কালকে ডাফের যুগ বলা হয়?

Ans: 1830 – 1857 খ্রিস্টাব্দ

100.কার সঙ্গে কেশবচন্দ্রের কন্যা সুনীতির বিবাহ হয়?

Ans: কোচবিহারের রাজকুমারের সঙ্গে


101. ” বিশ্বপথিক ” কাকে বলা হয়?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

102.” প্রাচ্যের সভ্যতা দুর্নীতিপূর্ণ ও অপবিত্র ” – উক্তিটি কার?

Ans: টমাস ব্যাবিংটন মেকলে

103.ভারতের প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোথায় স্থাপিত হয়?

Ans: রুরকিতে

104.” আত্মীয়সভা ” কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: রাজা রামমোহন রায় 1815 খ্রিস্টাব্দে

105.ব্রাহ্মসভা কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans::রাজা রামমোহন রায় 1828 খ্রিস্টাব্দে

106.কত খ্রিস্টাব্দে GCPI প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: 1823 খ্রিস্টাব্দে

107.GCPI – এর সম্পূর্ণ নাম কী?

Ans: জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি|

108.ব্রাহ্মসভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: তারাচাঁদ চক্রবর্তী

109.কত খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: 1897 সালে

110.কাকে ভারতের ” ট্রাডিশনাল মর্ডানাইজার ” বলা হয়?

Ans: বিদ্যাসাগর

111.ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের (1851খ্রি:) প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

Ans: রাধাকান্ত দেব

112.ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী কবি কাকে বলা হয়?

Ans: ডিরোজিওকে

113.নব্য বৈষ্ণবধর্মের প্রবক্তা কে ছিলেন?

Ans: বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

114.” নববিধান ব্রাহ্মসমাজ ” কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

Ans: 1880 খ্রিস্টাব্দে

115.বাংলার নবজাগরণকে কে, ” তথাকথিত নবজাগরণ ” বলেছেন?

Ans: অশোক মিত্র


সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নঃ প্রশ্নমান- ২


1. “শ্রীরামপুর ত্রয়ী” নামে কারা পরিচিত ছিলেন? 

Ans: উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড এই তিন খ্রিস্টান মিশনারিকে একত্রে ” শ্রীরামপুর ত্রয়ী ” বলা হয় |

2.ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমদিকে কেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেয়নি? 

Ans: কারণ, তারা মনে করত যে,ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য ব্রিটিশদের অর্থব্যয়ের কোনো প্রয়োজন নেই |ধর্মভিত্তিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় আঘাত করলে তারা ক্ষুব্ধ হবে |তাছাড়া তাদের মনে ভয় ছিল, ভারতীয়রা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হলে ভবিষ্যতে তাদের মনে স্বাধীনতা লাভের ইচ্ছা জন্মাবে |

3.প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝ? 

Ans: 1813 খ্রিস্টাব্দে সনদ আইনের দ্বারা ব্রিটিশ সরকার ভারতে জনশিক্ষার জন্য প্রতি বছর এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার কথা ঘোষণা করে |সেই মোতাবেক জনশিক্ষা নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে 1823 খ্রিস্টাব্দে জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয় |কিন্তু প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য এই অর্থ ব্যয় হবে তা নিয়ে জনশিক্ষা কমিটির সদস্যরা দুটি দলে বিভক্ত হলে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত |

4.প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট কাদের বলা হয়? 

Ans: 1813 খ্রিস্টাব্দে সনদ আইনে ভারতীয় জনশিক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বরাদ্দ বার্ষিক এক লক্ষ টাকা যারা দেশীয় ভাষা,সাহিত্য – সংস্কৃতি প্রভৃতি খাতে ব্যয় করতে চেয়েছিলেন তাদের প্রাচ্যবাদী বলা হয় |কোলব্রুক, উইলসন, এইচ. টি. প্রিন্সেপ প্রমুখরা ছিলেন এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য |

5.পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট কাদের বলা হয়? 

Ans: 1813 খ্রিস্টাব্দে সনদ আইনে ভারতীয় জনশিক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বরাদ্দ বার্ষিক এক লক্ষ টাকা যারা পাশ্চাত্যের সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, ইংরেজি প্রভৃতি শিক্ষার খাতে ব্যয় করতে চেয়েছিলেন তাদের পাশ্চাত্যবাদী বলা হয় |আলেকজান্ডার ডাফ, কোলভিন, সন্ডার্স, মেকলে প্রমুখরা ছিলেন এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য |

6.ক্রমনিম্ন পরিস্রুত নীতি বা চুঁইয়ে পড়া নীতি বা Downward Filtration Theory কী? 

Ans: লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আমলে তাঁর জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে এক প্রস্তাবে বলেন যে, জল যেভাবে উঁচু থেকে নীচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক সেইভাবে ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটলে তা ক্রমশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে |মেকলের এই নীতি ক্রমনিম্ন পরিস্রুত নীতি বা চুঁইয়ে পড়া নীতি নামে পরিচিত |

7.অকল্যান্ড মিনিট কী? অথবা অকল্যান্ড মিনিটের গুরুত্ব কী? 

Ans: শিক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্বের অবসানের জন্য 1839 সালের 24 নভেম্বর বড়োলাট লর্ড অকল্যান্ড ঘোষণা করেন পাশ্চাত্য শিক্ষার পাশাপাশি প্রাচ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বছরে 31 হাজার টাকা ব্যয় করা হবে |সেই সঙ্গে শিক্ষার মাধ্যম হবে মাতৃভাষা ও ইংরেজি ভাষা দুইই |

8.তিন আইন কী? 

Ans: কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ব্রাহ্ম আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার 1872 খ্রিস্টাব্দে সংস্কারমূলক তিন আইন পাস করে |এই আইন দ্বারা ভারতীয় হিন্দু সমাজে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হয় এবং অসবর্ণ বিবাহ আইনানুগ হয়|এটি তিন আইন নামে পরিচিত |

9.ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হল কেন? 

Ans: কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজের নীতি লঙ্ঘন করে 1878 খ্রিস্টাব্দে তাঁর 14 বছর বয়সি নাবালিকা কন্যা সুনীতি দেবীর সঙ্গে কোচবিহারের নাবালক রাজপুত্র নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিবাহ দিলে তরুণ ব্রাহ্মনেতারা ক্ষুব্ধ হন|ফলস্বরূপ 1878 খ্রিস্টাব্দের 15 মে শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু প্রমুখরা মিলে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন |এইভাবে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হয় |

10.বাংলার নবজাগরণকে কে, কেন ” এলিটিস্ট আন্দোলন ” বলেছেন? 

Ans: •• বাংলার নবজাগরণকে ড. অনিল শীল এলিটিস্ট আন্দোলন বলেছেন |

•• কারণ, তাঁর মতে এই নবজাগরণ মূলত শহুরে উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত মানুষদের মধ্যেই মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল|গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নবজাগরণের কোনো সম্পর্ক ছিল না |

11.কাকে এবং কেন কাঙাল হরিনাথ বলা হত? 

Ans: •• গ্রামবার্ত্তা পত্রিকার সম্পাদক হরিনাথ মজুমদার, কাঙাল হরিনাথ নামে পরিচিত ছিলেন |

•• শৈশবেই তিনি পিতামাতাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে যান এবং দারিদ্র কখনই তাঁকে ছেড়ে যায় নি|তাই তিনি কাঙাল হরিনাথ নামে পরিচিত ছিলেন |

12.পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে কোম্পানির উদ্দেশ্য কী ছিল? 

Ans: পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে কোম্পানির উদ্দেশ্য ছিল – কোম্পানির প্রশাসন পরিচালনার উদ্দেশ্যে একদল উপযুক্ত কেরানি তৈরি করা|এছাড়া পাশ্চাত্য মানসিকতাযুক্ত নাগরিক তৈরি করা,যাতে ঐ শিক্ষিত সমাজ ব্রিটিশ শাসনের অনুগত হয় |

13.ব্রাহ্মসমাজের যেকোনো দুটি সমাজ সংস্কারমূলক কাজের উল্লেখ করো |

Ans: 1.বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করা |

2.নারী শিক্ষার বিস্তার ও পর্দা প্রথার বিলুপ্তি |

14.ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? 

Ans: ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আগত সিভিলিয়ান ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, আইনকানুন প্রভৃতি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য 1800 খ্রি: লর্ড ওয়েলেসলি কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন|এই কারণে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হত|

15.প্রথম মহিলা হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন কারা এবং কবে?  

Ans: 1882 খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ও চন্দ্রমুখী বসু |

16.কী উদ্দেশ্যে সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি বা জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন(GCPI) গঠিত হয়? 

Ans: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট 1813 খ্রিস্টাব্দে চার্টার আইন পাস করে|এই আইনে বলা হয় যে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতি বছর ভারতীয় জনশিক্ষার জন্য 1 লক্ষ টাকা ব্যয় করবে|সেই অনুসারে জনশিক্ষা নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে 1823 খ্রিস্টাব্দে সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয় |

17.হান্টার কমিশন(1882খ্রি:)গঠিত হয়েছিল কেন?

Ans: উডের শিক্ষাসংক্রান্ত নির্দেশনামা কতটা কার্যকরী হয়েছে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান করা এবং ভারতে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি কেমন ঘটেছে সেই সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য বড়োলাট লর্ড রিপনের শিক্ষাবিদ স্যার উইলিয়াম হান্টারের নেতৃত্বে হান্টার কমিশন গঠিত হয়|পরবর্তী পর্যায়ের শিক্ষাবিস্তার সম্পর্কে সুপারিশ করাও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য |

18.ভারতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারের ক্ষেত্রে চার্লস উডের দুটি সুপারিশ উল্লেখ করো|

Ans: 1.দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো বেশি করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে|


2.শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পৃথক শিক্ষাদপ্তর গঠন করতে হবে|

১. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হয় ?
২. ব্রমহসমাজের যে কোন দুটি সমাজসংস্কারমূলক কাজের উল্লেখ করো ?
৩. কে, কি উদ্দেশে ফোর্ত উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করেন ?
৪. উইলিয়াম কেরি কি জন্যে বিখ্যাত ?
৫. নারীশিক্ষা প্রসারে রাধাকান্ত দেবের অবদান কি ?
৬. ১৮১৩ সালের চার্টার আইনে শিক্ষা নিয়ে কি বলা হয় ?
৭. মেকলে প্রতিবেদন কি ?
৮. ডেভিড হেয়ার কলকাতা স্কুলবুক সোসাইটি কেন স্থাপন করেন ?
৯. মধুদুদন গুপ্ত কেন বিখ্যাত ?
১০. উডের নির্দেশনামা কেন বিখ্যাত ?
১১. ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় ও কবে স্থাপিত হয় ?
১২. কে, কেন সতিদাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন ?
১৩. ডীরজিও কেন কর্মচ্যুত হন ?
১৪. প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বাদি দন্দ বলতে কি বোঝ ?

রচনাধর্মী প্রশ্নঃ প্রশ্নমান – ৪

১. পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো ?
২. নারীশিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো ?
৩. বাংলার নবজাগরন কি ইতালির রেনেসাঁসের সমতুল্য ?
৪. সতিদাহ প্রথা কেন নিসিদ্ধি হয় ?

ব্যাখ্যামুলক প্রশ্নঃ প্রশ্নমান- ৮

১. নিলদর্পণ নাটকের প্রেখ্যাপট আলোচনা করো ? 
২. শিক্ষার প্রসারে রাজারামমোহন রায় এবং রাধাকান্ত দেবের উদ্যোগ সংক্ষেপে লেখ ? 
৩.ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ আলোচনা করো। 

Ans: ভূমিকা :

উনিশ শতকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি দুই উদ্যোগই লক্ষ করা যায়। সরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রে বেন্টিঙ্ক, মেকলে, হার্ডিঞ্জ, চার্লস উড এবং বেসরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রাধাকান্ত দেব, আলেকজান্ডার ডাফ, উইলিয়াম কেরি, ডেভিড হেয়ার বেথুন সাহেব প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

A. পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে সরকারি উদ্যোগ :

1.সনদ আইন :

১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে সনদ আইনে বলা হয় যে, ইংরেজ কোম্পানি ভারতের শিক্ষাখাতে বছরে ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করবে।

2.মেকলে মিনিট :

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা খরচকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ২ ফেব্রুয়ারি পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনে বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে তাঁর রিপোর্ট পেশ করেন।

3.হার্ডিঞ্জের ঘোষণা :

১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট হার্ডিঞ্জ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে ইংরেজি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ে।

4.উডের ডেসপ্যাচ :

১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ভারতের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে প্রথম একটি সুস্পষ্ট নীতির কথা ঘোষণা করেন।

5.বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান :

১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ, ১৮৫৭ সালে কলকাতা,বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সারা ভারতে ৭২ টি কলেজ গড়ে ওঠে।১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি, ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়, ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সরকারি উদ্যোগে স্থাপিত হয়।

B. পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে বেসরকারি উদ্যোগ :

পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে বেসরকারি উদ্যোগ বলতে মূলত বিভিন্ন মিশনারিদের অবদান বোঝায়।

1.ব্যাপটিস্ট মিশনারি :

ব্যাপটিস্ট মিশনের সদস্য উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের উদ্যোগে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন এবং ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।এছাড়া তাঁদের প্রচেষ্টায় ভারতে মোট ১২৬ টি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

2.লন্ডন মিশনারি :

১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি উদ্যোগে চুঁচুড়া ও পরে বাংলাদেশের অন্যত্র ৩৬ টি  ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

3.স্কটিশ মিশনারি :

১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায়ের সহায়তায় স্কটিশ মিশনারি আলেকজান্ডার ডাফ জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইন্সটিটিউশন নামে একটি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

4.জেসুইট মিশনারি :

বেলজিয়ামের জেসুইট মিশনারিদের উদ্যোগে ১৮৩৫ সালে কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

5.ভারতীয়দের উদ্যোগ :

পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে যেসমস্ত ভারতীয় ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজা রামমোহন রায়, রাধাকান্ত দেব,বিদ্যাসাগর প্রমুখ। রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে  অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল,১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে বেদান্ত কলেজ

প্রতিষ্ঠা করেন।রাধাকান্ত দেব ও বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য শিক্ষাকে প্রাধান্য দেন।

মূল্যায়ন :

ভারতবর্ষে কোম্পানির শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হওয়ার আগে থেকেই খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারিভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয়। পরে ইংরেজ কোম্পানি ও ভারতীয়দের উদ্যোগে সেই পথ আরও মসৃন হয়।

৪.বাংলার নবজাগরণের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। অথবা উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি বা চরিত্র আলোচনা করো। 

Ans: ভূমিকা :

উনিশ শতকে পাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে আসার পর বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজে দেখা দেয় আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি তথা জাগরণ।বাংলার এই জাগরণকে ‘নবজাগরণ’ আখ্যা দেওয়া হয়। বাংলার এই নবজাগরণের চরিত্র নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মত বিরোধের অন্ত নেই।

**বাংলার নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য/প্রকৃতি/চরিত্র :

1.শহরকেন্দ্রিক :

বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত। তা ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক, বিশেষ করে কলকাতাকেন্দ্রিক।

2.উচ্চ শিক্ষিত মধ্যবিত্তের প্রাধান্য :

এই নবজাগরণে কলকাতার মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ই প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ছিল এর ধারক ও বাহক। কিন্তু গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।এই কারণে অধ্যাপক অনিল শীল এই জাগরণকে ‘এলিটিস্ট আন্দোলন’ বলে অভিহিত করেছেন।

3.হিন্দুসমাজের জাগরণ :

এই নবজাগরণ কেবলমাত্র হিন্দুসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।তাই এই নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে হিন্দু জাগরণবাদে পর্যবসিত হয়।রামমোহন ও বিদ্যাসাগর হিন্দুশাস্ত্রকে ভিত্তি করে সমাজ পরিবর্তনের ডাক দেন।

4.মানবতাবাদী আন্দোলন অনুপস্থিত :

ইউরোপীয় নবজাগরণে যেখানে মানবতাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, বাংলার নবজাগরণে মানবতাবাদী ভাবধারার বিকাশ তেমন চোখে পড়ে না, যদিও এই শতকে বেশকিছু মানবতাবাদী কাজকর্ম ছিল লক্ষণীয়।

5.ব্রিটিশ – নির্ভর জাগরণ :

বাংলার এই নবজাগরণ ছিল ব্রিটিশ নির্ভর।নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গল সাধিত হবে।

6.অপরিবর্তিত সামাজিক কাঠামো :

বাংলার নবজাগরণের প্রবক্তারা বাংলার সামাজিক কাঠামো,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতির ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি।তাই অধ্যাপক অশোক মিত্র এই নবজাগরণকে “তথাকথিত নবজাগরণ” বলেছেন।

7.প্রাণশক্তি অনুপস্থিত :

বাংলার এই নবজাগরণে কোনো প্রাণশক্তি ছিল না।তাই অরবিন্দ পোদ্দার একে “বিকৃত ও নীরস” রেনেসাঁ বলেছেন।

মূল্যায়ন :

 বাংলার নবজাগরণ সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রে দেশকে অগ্রগতির পথ দেখাতে পেরেছিল কিনা, যুক্তি ও মানবতাবাদ তথা আধুনিকতার স্রোতে দেশকে অবগাহন করতে সাহায্য করেছিল কিনা, এই বিষয়ে নানা সন্দেহ থাকলেও একথা বলা যায় যে, এই কাজে বাংলার নবজাগরণ ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিল।