অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন:- 20X40 পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা কত ? পরমাণুটির ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ ।
উত্তর:- 20X40 পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা = 20, নিউট্রন সংখ্যা = (40 - 20) = 20, পরমাণুটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 20 । অতএব পরমাণুটির ইলেকট্রন বিন্যাস হল K কক্ষে 2 -টি, L কক্ষে 8 -টি, M কক্ষে 8 -টি এবং N কক্ষে 2 -টি ।
প্রশ্ন:- Cl- আয়নে উপস্থিত তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা কত ? (CL- পারমাণবিক সংখ্যা 17 )
উত্তর:- Cl- আয়নে উপস্থিত ধনাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 17 এবং ঋণাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 18 ।
প্রশ্ন:- প্রোটন পরমাণুর কোন অংশে থাকে ?
উত্তর:- প্রোটন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকে ।
প্রশ্ন:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির নাম কী ?
উত্তর:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির নাম হল ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন ।
প্রশ্ন:- সোডিয়াম (পারমাণবিক সংখ্যা -11) 1 -টি ইলেকট্রন বর্জন করে Na+ গঠন করে, সোডিয়াম পরমাণুর K, L, না M কক্ষ থেকে ইলেকট্রনটি বর্জিত হয় ।
উত্তর:- যেহেতু Na পরমাণুর M কক্ষে 1টি ইলেকট্রন আছে , এতএব এক্ষেত্রে সোডিয়াম পরমাণুর M কক্ষ থেকে ইলেকট্রনটি বর্জিত হয় ।
প্রশ্ন:- ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা 12 । Mg++ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা কত ?
উত্তর:- ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা = 12 ; Mg++ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা = 12 - 2 = 10 ।
প্রশ্ন:- 92X235 পরমাণুর মধ্যে তড়িতাহিত কণার সংখ্যা নির্ণয় করো । পরমাণুটির প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা কত ?
উত্তর:- 92X235 পরমাণুর মধ্যে 92 -টি প্রোটন, ও 92 -টি ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং, মোট তড়িতাহিত কণার সংখ্যা = (92 + 92) = 184 । পরমাণুটির ভর সংখ্যা = 235 । সুতরাং পরমাণুটির নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা = (235 - 92) = 143 ।
প্রশ্ন:- প্রোটনের তড়িতাধানের প্রকৃতি কী ?
উত্তর:- প্রোটন হল ধনাত্বক বা পজিটিভ তড়িৎগ্রস্ত কণা ।
প্রশ্ন:- হাইড্রোজেনের দুটি সমস্থানিক চিহ্নের সাহায্যে লেখ ।
উত্তর:- হাইড্রোজেনের দুটি সমস্থানিক হল-[i] 1H2 (ডয়টেরিয়াম), [ii] 1H3 ( ট্রাইটিয়াম ) ।
প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 6 ও 8 । পরমাণুটির ভর সংখ্যা কত ?
উত্তর:- পরমাণুটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 6 -টি অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা = 6 -টি নিউট্রন সংখ্যা = 8 -টি সুতরাং, পরমাণুর ভর সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা = (6 + 8) = 14 ।
প্রশ্ন:- পরমাণুতে সবচেয়ে ভারী এবং সবচেয়ে হালকা কণা কোনটি ?
উত্তর:- পরমাণুতে সবচেয়ে ভারী কণা নিউট্রন এবং সবচেয়ে হালকা কণা ইলেকট্রন ।
প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুতে উপস্থিত নিউট্রন ও প্রোটনের মোট সংখ্যাকে কী বলে ?
উত্তর:- কোনো পরমাণুতে উপস্থিত নিউট্রন ও প্রোটনের মোট সংখ্যাকে ভর সংখ্যা বলে ।
প্রশ্ন:- 20Ca40 -পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ ।
উত্তর:- 20Ca40 -পরমাণুর ইলেকট্রন = 20, সুতরাং ইলেকট্রন বিন্যাস হল K2L8M8N2 ।
প্রশ্ন:- একটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা 11 হলে, এর M কক্ষপথে কটি ইলেকট্রন থাকবে ?
উত্তর:- মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা 11 হলে ইলেকট্রন সংখ্যা হবে = 11 । মৌলটির পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হবে K2L8M1 । সুতরাং মৌলটির পরমাণুর M কক্ষপথে 1 -টি ইলেকট্রন থাকবে ।
প্রশ্ন:- 19K39 -এর পরমাণুতে প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেক্ট্রনের সংখ্যা কত ? পরমাণুর কোন কক্ষপথে কয়টি করে ইলেকট্রন আছে ?
উত্তর:- 19K39 -এর পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা = 19, ইলেক্ট্রনের সংখ্যা = 19 এবং নিউট্রন সংখ্যা = (39 - 19) = 20 । পরমাণুটির K-কক্ষে 2-টি, L-কক্ষে 8-টি, M -কক্ষে 8 -টি এবং N -কক্ষে 1 -টি ইলেকট্রন আছে ।
প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুতে কেন্দ্রকীয় কণাগুলিকে একত্রে ধরে রেখেছে কোন বল ?
উত্তর:- কোনো পরমাণুতে কেন্দ্রকীয় কণাগুলিকে একত্রে ধরে রেখেছে নিউক্লিয় বল ।
প্রশ্ন:- ইলেক্ট্রনের আধানের পরিমাণ কুলম্ব এককে প্রকাশ করো ।
উত্তর:- S.I. এককে ইলেক্ট্রনের আধান = -1.602 x 10-19 কুলম্ব ।
প্রশ্ন:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির মধ্যে আধান-বিহীন কণা কোনটি ?
উত্তর:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির মধ্যে নিউট্রন হল আধান-বিহীন কণা ।
প্রশ্ন:- নিউক্লিয়ন কী ?
উত্তর:- পরমাণুর নিউক্লিয়াসের প্রোটিন ও নিউট্রন কণাগুলিকে এক সঙ্গে কেন্দ্রীয় কণা বা নিউক্লিয়ন বলে ।
প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুর M -কক্ষ সর্ববহিস্থ কক্ষ হলে ওই কক্ষে সর্বোচ্চ কতগুলি ইলেকট্রন থাকতে পারে ? উত্তর:- M -কক্ষের জন্য মুখ্য কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) = 3 । 2n2 সূত্রানুযায়ী M কক্ষে সর্বাধিক ইলেকট্রন সংখ্যা = 2.32 = 18 -টি থাকতে পারলেও এই পরমাণুর ক্ষেত্রে M কক্ষ সর্ববহিস্থ কক্ষ হওয়ার জন্য ওই কক্ষপথে সর্বোচ্চ 8 টি ইলেকট্রন থাকতে পারে ।
প্রশ্ন:- নিউট্রনবিহীন একটি পরমাণুর নাম কী ?
উত্তর:- সাধারণ হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়ামের (1H1) পরমাণু হল নিউট্রনবিহীন ।
প্রশ্ন:- পরমাণু কেন্দ্রকে কী কী কণা থাকে ?
উত্তর:- সাধারণ হাইড্রোজেন ছাড়া অন্য সব মৌলের পরমাণু কেন্দ্রকে প্রোটিন ও নিউট্রন কণা থাকে । সাধারণ হাইড্রোজেনের পরমাণু কেন্দ্রক একটি মাত্র প্রোটিন কণা দ্বারা গঠিত - এর কেন্দ্রকে কোনো নিউট্রন কণা নেই ।
প্রশ্ন:- C.G.S. এককে ইলেক্ট্রনের তড়িতাধান কত ?
উত্তর:- C.G.S. এককে ইলেক্ট্রনের তড়িতাধান = -4.8 x 10-10 esu ।
প্রশ্ন:- যৌগ মূলকের একটি ক্যাটায়ান ও একটি অ্যানায়নের নাম ও সংকেত লেখ ।
উত্তর:- ক্যাটায়ান হল আয়ন (NH+4) এবং অ্যানায়ন হল নাইট্রেট আয়ন (NO-3) ।
প্রশ্ন:- 57X141 পরমাণুটিতে কয়টি প্রোটন ও কয়টি নিউট্রন আছে ?
উত্তর:- 57X141 পরমাণুটির ভর সংখ্যা = 141 এবং পারমাণবিক সংখ্যা = 57 । সুতরাং পরমাণুটিতে প্রোটন সংখ্যা 57 এবং নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা = (141 - 57) = 84 ।
প্রশ্ন:- পরমাণুর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভারী কণা ?
উত্তর:- পরমাণুর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভারী কণা হল নিউট্রন ।
প্রশ্ন:- নিউট্রনের আধানের মান কত ?
উত্তর:- নিউট্রন নিস্তড়িৎ কণা । অতএব, নিউট্রনের আধানের পরিমাণ শূন্য ।
প্রশ্ন:- পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা সমান এমন একটি মৌলের নাম কী ?
উত্তর:- পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা সমান এমন একটি মৌল হল সাধারণ হাইড্রোজেন (1H1) ।
প্রশ্ন:- Na+, Cl-, Ca, 6C12 -এর মধ্যে কোনটি নিউক্লিয়াইড ?
উত্তর:- Na+, Cl-, Ca, 6C12 -এর মধ্যে 6C12 হল কার্বনের একটি নিউক্লিয়াইড ।
প্রশ্ন:- ইলেকট্রন মহল কাকে বলে ?
উত্তর:- প্রত্যেক পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন থাকে, ঠিক ততগুলি ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে । পরমাণুর এই অংশকে ইলেকট্রন মহল বলে ।
প্রশ্ন:- মৌলের ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক গুরুত্ব কোন ক্ষেত্রে একই হতে পারে ?
উত্তর:- প্রকৃতিতে যে সব মৌলের একটি মাত্র আইসোটন 100% বর্তমান থাকে সেইসব মৌলের ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক গুরুত্ব একই হয় । যেমন : সোডিয়াম (11Na23), ফ্লুওরিন (9F19) ।
প্রশ্ন:- কেন্দ্রবহির্ভূত ইলেকট্রন বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:- পরমাণু নিস্তড়িৎ । প্রত্যেক পরমাণুর কেন্দ্রকে মোট যতগুলি পজিটিভ তড়িত্গ্রস্থ প্রোটন থাকে , ঠিক ততগুলি নেগেটিভ তড়িত্গ্রস্থ ইলেকট্রন পরমাণু-কেন্দ্রকের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে । এই ইলেকট্রনগুলিকে কেন্দ্রবহির্ভূত ইলেকট্রন বলে ।
প্রশ্ন:- K+, Cl, Ar, F- -এর মধ্যে কোন দুটি সম ইলেকট্রন যুক্ত ?
উত্তর:- K -এর পারমাণবিক সংখ্যা 19, সুতরাং K+ -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (19 - 1) = 18 ।
Cl -এর পারমাণবিক সংখ্যা 17, সুতরাং Cl -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 17 ।
Ar -এর পারমাণবিক সংখ্যা 18, সুতরাং Ar -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 18 ।
F -এর পারমাণবিক সংখ্যা 9, সুতরাং F- -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (9 + 1) = 10 ।
অতএব K+, Cl, Ar, F- -এর মধ্যে K+ ও Ar সম ইলেকট্রন যুক্ত ।
প্রশ্ন:- পরমাণু কিভাবে আয়নে পরিনত হয় ?
উত্তর:- যখন কোনো পরমাণু ওর নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন করে অথবা সবচেয়ে বাইরের কক্ষে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহন করে তখন ওই পরমাণুটি আয়নে পরিনত হয় । যেমন : Na - e = Na+ (সোডিয়াম আয়ন) ; Cl + e = Cl- (ক্লোরাইড আয়ন ) ইত্যাদি ।
প্রশ্ন:- F-, O2- এবং Na+ আয়নগুলির মধ্যে সম্পর্ক কী ?
উত্তর:- F-, O2- এবং Na+ আয়নগুলিতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে 10 -টি করে ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং এরা আইসোইলেক্ট্রনিক ।
প্রশ্ন:- যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে ?
উত্তর:- পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের যেসব ইলেকট্রন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়, তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে ।
প্রশ্ন:- পরমাণুর মৌলিকত্ব কিসের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর:- পরমাণুর মৌলিকত্ব মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণুক্রমাঙ্কের ওপর নির্ভর করে ।
প্রশ্ন:- তিনটি পরমাণুর ভর সংখ্যা যথাক্রমে 31, 32, 34 এবং এদের নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 15, 16, 16 ; পরমাণু তিনটির মধ্যে কোন দুটি আইসোটোপ ?
উত্তর:- এখানে পরমাণু তিনটির প্রোটন সংখ্যা যথাক্রমে (31 - 15) বা 16, (32 - 16) বা 16 এবং (34 - 16) বা 18 । অর্থাৎ 31 এবং 32 ভর সংখ্যাবিশিষ্ট পরমাণু দুটির প্রত্যেকেরই প্রোটিন সংখ্যা 16 অর্থাৎ, এদের পারমাণবিক সংখ্যা সমান, কিন্তু ভর সংখ্যা আলাদা । অতএব পরমাণু তিনটির মধ্যে প্রথম দুটি পরমাণু কোনো মৌলের আইসোটোপ ।
প্রশ্ন:- পারমাণবিক ভর একক কাকে বলে ?
উত্তর:- কোনো মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে যে এককে প্রকাশ করা হয়, তাকে পারমাণবিক ভর একক (amu) বলে । 1 amu = 1.66 x 10-24 গ্রাম ।
প্রশ্ন:- নিউক্লিয় বল কী ?
উত্তর:- নিউক্লিয়নগুলির মধ্যে যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে পরমাণু কেন্দ্রকের মধ্যে ওদের দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে সেই বলকে নিউক্লিয় বল বলে ।
প্রশ্ন:- ভারী জল কাকে বলে ?
উত্তর:- যে জলে ডয়টেরিয়াম সাধারণ হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপিত করে, তাকে ভারী জল (D2O) বলে ।
প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে কার ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে
গামা (γ) রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী ।
প্রশ্ন:- একটি মৌল অপর একটি মৌলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হয় এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উল্লেখ কারো ।
উত্তর:- একটি মৌল অপর একটি মৌলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হয় এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হল প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা ।
প্রশ্ন:- ক্যাথোড রশ্মি কাকে বলে ?
উত্তর:- খুব কম বায়ু চাপে তড়িৎ মোক্ষণ নলে গ্যাসের মধ্যে তড়িৎ-দ্বারের সাহায্যে উচ্চ বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করলে ক্যাথোড থেকে অ্যানোডের দিকে ধাবমান তীব্র গতিবেগ সম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোতকে ক্যাথোড রশ্মি বলে ।
প্রশ্ন:- আলফা কণার প্রকৃতি ও সংকেত কী ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত দুই একক পজিটিভ আধান যুক্ত হিলিয়াম পরমাণুকে α -কণা বলে এবং এর সংকেত হল ।
প্রশ্ন:- বিটা কণার প্রকৃতি ও সংকেত লেখো ।
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত তীব্র গতি সম্পন্ন নেগেটিভ আয়ন যুক্ত অতি ক্ষুদ্র কণাকে β -কণা বলে । β -কণা ও ইলেকট্রন অভিন্ন । এর সংকেত ।
প্রশ্ন:- দুটি প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো ।
উত্তর:- রেডিয়াম এবং ইউরেনিয়াম হল দুটি প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় মৌল ।
প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর কোন অংশ থেকে নির্গত হয় ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত হয় ।
প্রশ্ন:- ডায়োড ভালভে তড়িৎ প্রবাহের উত্স কী ?
উত্তর:- ক্যাথোড থেকে তাপ তড়িৎ নিঃসরণই ডায়োডে তড়িৎ প্রবাহের উত্স ।
প্রশ্ন:- পরমাণুর কোন অংশ থেকে α -কণা নির্গত হয় ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে α -কণা নির্গত হয় ।
প্রশ্ন:- ডায়োডের ফিলামেন্ট কী ?
উত্তর:- ডায়োড ভালভের মধ্যে যে দুটি তড়িৎদ্বার থাকে তাদের একটি ইলেকট্রন নিঃসরণ করে, একে ক্যাথোড বা ফিলামেন্ট বলে ।
প্রশ্ন:- ডায়োডে কয়টি তড়িৎদ্বার থাকে ?
উত্তর:- ডায়োডে দুটি তড়িৎদ্বার থাকে ।
প্রশ্ন:- এক্স-রশ্মি তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয় ?
উত্তর:- এক্স-রশ্মি নিস্তড়িৎ । তাই এক্স-রশ্মি তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না ।
প্রশ্ন:- কোন ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ডায়োড তৈরি হয় ?
উত্তর:- তাপীয় আয়ন নিঃসরণ ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ডায়োড তৈরি হয় ।
প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক কে ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক হলেন ফরাসি বিজ্ঞানী হেনরি বেকারেল ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মি কী গ্যাসকে আয়নিত করে ?
উত্তর:- এক্স -রশ্মি গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির আধান কত ?
উত্তর:- এক্স-রশ্মি নিস্তড়িৎ হওয়ায় তার আধানের পরিমাণ শূন্য ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির আবিষ্কারক কে ?
উত্তর:- 1895 সালে জার্মান বিজ্ঞানী
ডব্লিউ. রন্টজেন এক্স -রশ্মি আবিষ্কারক করেন ।
প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে কী কী রশ্মি নির্গত হয় ? এদের নাম কী ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণুর কেন্দ্রক থেকে তিন প্রকার রশ্মি নির্গত হয় । এদের নাম হল —আলফা (α) রশ্মি, বিটা (ß) রশ্মি এবং গামা ( γ ) রশ্মি ।
প্রশ্ন:- কী কী পদ্ধতিতে ধাতু থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণ করা হয় ?
উত্তর:- ধাতব পৃষ্ঠ থেকে ইলেকট্রন নিঃসরণের পদ্ধতিগুলি হল —
(i) তাপীয় আয়ন নিঃসরণ,
(ii) আলোক তড়িৎ নিঃসরণ
(iii) ক্ষেত্র নিঃসরণ
(iv) গৌণ নিঃসরণ ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে কোনটির ভেদন ক্ষমতা বেশী ?
উত্তর:- এক্স -রশ্মির চেয়ে গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা প্রায় 100 গুণ বেশী ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে সাদৃশ্য কী ?
উত্তর:- এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি মধ্যে সাদৃশ্য :
(a) এক্স -রশ্মি ও গামা রশ্মি উভয়েই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ ।
(b) এরা তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না ।
(c) উভয়ের বেগ শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগের সমান । অর্থাৎ মিটার সেকেন্ড ।
(d) এরা গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে । এছাড়া উভয়েই ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর ক্রিয়া করে ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মি ও ক্যাথোড রশ্মির মূল পার্থক্য কী ?
উত্তর:- এক্স -রশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ । অপরপক্ষে ক্যাথোড রশ্মি হল তীব্র গতিযুক্ত
ইলেকট্রন কণার স্রোত ।
প্রশ্ন:- কোনো ধাতুর কার্য অপেক্ষক বলতে কী বোঝ ?
উত্তর:- কোনো ধাতব পৃষ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি ইলেকট্রনের যে নুন্যতম শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ওই ধাতব পৃষ্ঠের কার্য অপেক্ষক বলে ।
প্রশ্ন:- এক্স -রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তর:- এক্স -রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রায় সেমি 10-8 বা 1 অ্যাংস্ট্রম ।
প্রশ্ন:- হাইড্রোজেন বোমা কোন পদ্ধতিতে তৈরি হয় ?
উত্তর:- নিউক্লিয় সংযোজন পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি হয় ।
প্রশ্ন:- নিউক্লিয় সংযোজন ঘটাতে কত উষ্ণতার প্রয়োজন হয় ?
উত্তর:- নিউক্লিয় সংযোজন ঘটাতে প্রায় 10 লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি উষ্ণতার প্রয়োজন হয় ।
প্রশ্ন:- তাপীয় আয়ন কাকে বলে ?
উত্তর:- তাপ প্রয়োগে কোনো ধাতবপৃষ্ঠ থেকে যেসব ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, সেই ইলেকট্রনগুলিকে তাপীয় আয়ন বলে ।
প্রশ্ন:- তেজস্ক্রিয়ার এস. আই. একক কী ?
উত্তর:- তেজস্ক্রিয়ার এস. আই. একক হল
বেকারেল ।
দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নঃ প্রশ্নমান – ৩
১. তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ ?২. ,β ও γ রশ্নির উপর তড়িৎ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাব আলোচনা করো ?
৩. চিকিতস্যাক্ষেত্রে তেজস্রিয়িতার ব্যাবহার উল্লেখ করো ?
৪. নেউক্লিয় বিভাজন কাকে বলে ? ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াসের বিভাজন বিক্রিয়াটি সমীকরণ এবং চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর ?
৫. নিউক্লিয় সংযোজন কাকে বলে ? নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়াটি সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো ?
৬. ভরত্রুটি বলতে কি বোঝায় ? নিউক্লিয় সংযোজনে যে শক্তি মুক্ত হয় তার উৎস কি ?
৭. যে তেজস্ক্রিয় রশ্নি কনা দ্বারা গঠিত নয় সেটি কি ?